অনলাইন ডেস্ক :::
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। তাই এ মামলার বিবাদী সাবেক সিএনএস কর্মকর্তাসহ তিন আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন দেশটির অন্টারিওর আদালতের বিচারক ইয়ান নরডেইমার। শুক্রবার কানাডার পত্রিকা দ্যা গ্লোব অ্যান্ড মেইলে প্রকাশিত খবরে এ কথা জানানো হয়।
২০১০-২০১১ সালে কানাডার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগ প্রমাণ করতে ফোনে আড়ি পেতে (ওয়্যার ট্যাপস) ধারণ করা যেসব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে আবেদন করা হয়, তা অনুমানভিত্তিক ও গুজব বলে রায় দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, তথ্যভিত্তিক কোনো প্রমাণ কানাডার সরকারি পক্ষ আদালতে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এদিকে এ রায়ের ফলে এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (জ্বালানি ও অবকাঠামো) কেভিন ওয়ালেস, প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূঁইয়া এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত: